রাজধানী ডেস্ক: কয়কেবার জাল ফেললেও খুব একটা মাছ পাননি এমবি সাইফেরে জেলো, কিন্তু এরপর একদফায়ই জালে ধরা পড়লো ১০২ মন ইলিশ। বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলে ধরা শত মণ ইলিশ শুক্রবার দুপুরে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাড়ে ২৭ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনসংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে এসব মাছ ধরা পড়ে।
এফবি সাইফ-২ ট্রলারের মাঝি জামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনসংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে একবার জাল ফেলেই ১০২ মণ ২০ কেজি ইলিশ ধরা পড়ে। পরে মাছসহ তাঁরা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পাথারঘাটায় ফিরে আসেন।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী বিপণন কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, পাথরঘাটার সাগর ফিশ আড়তে ৪ হাজার ১০০ কেজি (১০২ মণ ২০ কেজি) ইলিশ মাছ বিক্রি করা হয়েছে। এসব মাছ বিক্রিতে সরকার ৩০ হাজার ৭০ টাকা টোল আদায় করেছে।
সাইফ-২ ট্রলারের অন্যতম মালিক ও পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, জ্বালানিসহ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজারসদাই করে ৪ দিন আগে ট্রলারটি সাগরে পাঠানো হয়েছিল। জেলেরা জাল ফেলে বিপুল পরিমাণে ইলিশ ধরেছেন। এর মধ্যে প্রায় ২০ মণ ইলিশ ছিল, যার মধ্যে প্রতিটির গড় ওজন ছিল ১ থেকে পৌনে ২ কেজি।
জ্বালানিসহ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজারসদাই করে ৪ দিন আগে ট্রলারটি সাগরে পাঠানো হয়েছিল। সেন্ট মার্টিনসংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলে ১০২ মণ ২০ কেজি ইলিশ ধরা পড়েছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, গত রোববার সকালে এফবি সাইফ-২ ট্রলারে করে জেলেরা পাথরঘাটা থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনসংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যান। দুই জায়গায় জাল ফেলে জেলেরা কোনো মাছ পাননি। পরে মঙ্গলবার রাতে সেন্ট মার্টিনসংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে জাল ফেললে তাঁরা ১০২ মণ ২০ কেজি ইলিশ পান। তিনি আরও বলেন, এফবি সাইফ-২ ট্রলারে আধুনিক সরঞ্জামের পাশাপাশি ইলিশ শিকারে লম্বা জাল ব্যবহার করা হয়েছে। এই জালের প্রস্থ ৯০ হাত।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, আজ সরকারি এই মৎস্য বাজারে ১০ হাজার ৫৫০ কেজি ইলিশ মাছ কেনাবেচা হয়েছে।
Leave a Reply