আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাপানের প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার ইংগিত দিলেন সুগা। চলতি মাসে জাপানের ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্ব নির্বাচনের লড়াইয়ে অংশ নেবেন না জানিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন ইয়োশিহিদে সুগা।
শিনজো আবের পদত্যাগের পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলায় খাবি খাওয়া, সংক্রমণের নাজুক পরিস্থিতির মধ্যেও অলিম্পিক আয়োজন এবং টিকাদান কর্মসূচির শ্লথগতির কারণে সুগার জনপ্রিয়তা ক্ষমতা নেওয়ার পর এখনই সবচেয়ে কম বলে বিভিন্ন জনমত জরিপে উঠে আসছিল।
মহামারীতে এ পর্যন্ত ১৫ লাখের বেশি কোভিড রোগী দেখা জাপানে জরুরি অবস্থা দিয়েও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না; তার মধ্যেই সুগা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) শীর্ষ পদের লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
“আজকে কার্যনির্বাহীদের বৈঠকে সুগা জানিয়েছেন তিনি কোভিড মোকাবেলায় নেওয়া ব্যবস্থার দিকে বেশি মনোযোগ দিতে চান এবং নেতা বাছাইয়ের লড়াইয়ে অংশ নেবেন না।
“সত্যি বলতে, আমি বিস্মিত হয়েছি। এটা অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি তার সেরাটা দিয়েছেন এবং সাবধানতার সঙ্গে সব বিবেচনার পর তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,” ফ্রান্সভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থাকে এমনটাই বলেছেন এলডিপির সেক্রেটারি জেনারেল।
সুগা ‘প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ছেন’ এ ইঙ্গিত পাওয়ার পরপরই জাপানি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দামে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
চলতি মাসের ২৯ তারিখ এলডিপি তাদের শীর্ষ নেতা বেছে নেবে। পার্লামেন্টে এলডিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় দলীয় নির্বাচনে জয়ী ব্যক্তিই জাপানের পরবর্তী নেতা হবেন বলে ধরে নেওয়া হয়।
স্ট্রবেরী চাষীর সন্তান সুগা জন্ম নিয়েছিলেন উত্তর জাপানের ছোট্ট একটি গ্রামে। ১৮ বছর বয়সে তিনি টোকিও চলে আসেন। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ যোগাতে তাকে একটি কার্ডবোর্ড ফ্যাক্টরিতেও কাজ করতে হয়েছিল।
১৯৮৭ সালে ইয়োকোহামার সিটি কাউন্সিলে নির্বাচিত হন তিনি, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জিতে তিনি পার্লামেন্ট ডায়েটের সদস্য হন।
২০০৫ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি সুগাকে অভ্যন্তরীণ বিষয় ও যোগাযোগ সংক্রান্ত সিনিয়র ভাইস মিনিস্টার বানান।
কোইজুমির উত্তরসূরী শিনজো আবের আমলে সুগা গুরুত্বপূর্ণ সব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। একসময় তার পরিচয় হয়ে উঠেছিল আবে’র ‘ফিক্সার’ হিসেবে; যার কাজ পর্দার আড়ালে থেকে দায়িত্ব সমাধা করা।
Leave a Reply