গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় কলাবাগানে পাওয়া গেছে মালেকা বানু (৩৮) নামের এক গৃহবধূর পোড়া লাশ। উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়া থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মালেকা উপজেলা দক্ষিণ পাড়ার বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন নিহতের স্বজনেরা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। স্বামী বাচ্চু মিয়া পেশায় কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। পুলিশের ধারণা, ওই গৃহবধূকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর আলামত নষ্ট করতেই আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলাবাগানে মালেকার এক স্বজন পোড়া লাশটি দেখতে পান। কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন এটি মালেকার লাশ। পরে বাড়ির অন্য লোকদের খবর দেন তিনি।
মালেকার ভাই সুজন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বোনকে তাঁর স্বামী (বাচ্চু) হত্যা করেছেন। অনেক বছর ধরে বাচ্চু নেশায় আসক্ত। নেশাগ্রস্ত হয়ে তিনি প্রায়ই বাড়িতে এসে আমার বোনকে মারধর করতেন। এ ছাড়া বিভিন্ন নারীর সঙ্গে তাঁর অনৈতিক সম্পর্ক আছে। এসব বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বাচ্চু ও আমার বোনের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার জেরে আমার বোনকে হত্যা করেছে তাঁর স্বামী। পরে লাশ পুড়িয়ে দেয়।’
নিহতের ছেলে মো. মানিক বলেন, সকালে তিনি তাঁর মাকে বাড়িতে পাননি। মা–বাবার মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল বলে তিনি জানতে পেরেছেন। প্রায়ই তাঁর মা–বাবার মধ্যে ঝগড়া হতো। তিনি ভেবেছিলেন ঝগড়া করে হয়তো তাঁর মা অন্য কোনো বাড়িতে অবস্থান করেছেন। কিন্তু সকাল ৯টায় বাড়ির পাশে তাঁর মায়ের ঝলসানো লাশ পাওয়া যায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন গাজীপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) আজমীর হোসেন। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, মালেকাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে আলামত নষ্ট করার জন্য লাশের গায়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধূর স্বামী ও তাঁর এক বন্ধুকে থানায় নেওয়া হয়েছে।’